Read more
সয়েল টেষ্ট রিপোর্ট নিয়ে আমাদের অনেককেই বিভ্রান্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। প্রথমেই বলা প্রয়োজন আমরা বাড়ী ঘর এর জন্য যে মাটির যে সকল পরীক্ষা করি তার নাম হচ্ছে সাব সয়েল ইনভেষ্টিগেশন। এর মাধ্যমে ফাউন্ডেশন এর মাটির ভার বহন ক্ষমতা, সেটেলমেন্ট ইত্যাদি নির্নয় করা হয়।
এজন্য বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো স্ট্যান্ডার্ড পেনিট্রেশন টেষ্ট। এই পদ্ধতিতে ওয়াশ বোরিং এর মাধ্যমে গর্ত করে প্রতি পাঁচ ফিট অন্তর মাটির পেনিট্রশন ক্ষমতার পরীক্ষা করা হয়। পেনিট্রশন ক্ষমতা দেখার জন্য একটি ১৮ ইঞ্চি লম্বা স্ট্যান্ডার্ড স্প্লিট স্পুন স্যাম্পলারকে পাইপের সাহায্যে ১৪০ পাউন্ড ওজনের একটি হ্যামারের মাধ্যমে ৩০ ইঞ্চি উপর হতে সম্পুর্ন ফ্রি ফল পদ্ধতিতে আঘাত করা হয়। এই স্ট্যান্ডার্ড স্প্লিট স্পুন স্যাম্পলার এর প্রথম ৬ ইঞ্চি বাদ দিয়ে পরবর্তী ১২ ইঞ্চি মাটির নীচে ঢুকতে কতটি হ্যামারের আঘাত লেগেছে সেটা গননা করে নোট রাখা হয়। এই গননাকৃত হ্যামারের আঘাতের সংখ্যাকে এন ভ্যালু বলে। এন ভ্যালু সংগ্রহের সাথে প্রতি ৫ ফিট পর মাটির স্যাম্পল দেখে মাটির প্রকৃতি যেমন - বেলে মাটি, কাদা মাটি, পলি মাটি সাথে মাটির কালার ইত্যাদি নোট রাখতে হয়। একই সাথে ল্যাবরেটরীতে বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য ডিস্টার্বড ও আনডিস্টার্বড মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
ল্যাবরেটরীতে যে সকল পরীক্ষা করা হয় সেগুলো সঠিকভাবে করা হলে অনেক টাকা খরচ হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য পর্যাপ্ত ফি পরিশোধ না করার কারনে আমাদের দেশে অধিকাংশ সাব সয়েল ইনভেষ্টিগেশন রিপোর্ট এ ল্যাবরেটরিতে কোনও কাজ করা হয় না। তাই নামমাত্র পেমেন্ট এর কারনে এন ভ্যালুর সাথে কোরিলেশন হতে গ্র্যাডেশন, শিয়ার, বেয়ারিং ক্যাপাসিটি ইত্যাদি নির্নয় করা হয়।
অনেকেই বলেন ভাল রিপোর্ট কিভাবে পাওয়া যায়? তাই বলছি রিপোর্ট দেখার আগে আপনাকে দেখতে হবে স্প্লিট স্পুন স্যাম্পলার, হ্যামার ড্রপ হাইট এবং প্রতি ৫ ফিট পর পর এন ভ্যালু সংগ্রহ, এন ভ্যালু বা ১৮ ইঞ্চির প্রথম ৬ ইঞ্চি বাদ দিয়ে পরবর্তী ১২ ইঞ্চিতে হ্যামারের সংখ্যা। প্রতি পাঁচ ফিট পর মাটির স্যাম্পল দেখে মাটির প্রকৃতি যেমন - বেলে মাটি, কাদা মাটি, পলি মাটি সাথে মাটির কালার ইত্যাদি নোট রাখতে হয়। স্প্লিট স্পুন এর এজিং এর শেল এর পুরুত্ব থাকবে প্রায় ২ মিলিমিটার। হ্যামারের ড্রপ হাইট হবে ৩০ ইঞ্চি। এগুলোতে কোনও ধরনের ছাড় দেওয়া যাবে না। এন ভ্যালু বা ১২ ইঞ্চিতে হ্যামারের সংখ্যা রিপোর্ট এর সাথে মিলিয়ে নিবেন। রিপোর্ট এর সাথে মাঠে প্রাপ্ত তথ্য মিলিয়ে নিবেন। বাকী কাজ ফর্মূলা। এটা চেক করতে একটু লেখাপড়া করতে হবে।
price/৳0
off/0
0 Reviews